বুলিয়ান অ্যালজেবরা কাকে বলে? বুলিয়ান অ্যালজেবরার বৈশিষ্ট্য
এখানে বুলিয়ান অ্যালজেবরা কি, বুলিয়ান অ্যালজেবরা কাকে বলে এবং বুলিয়ান অ্যালজেবরার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো।
প্রখ্যাত ইংরেজ গণিতবিদ জর্জ বুল ১৮৮৭ সালে তার প্রকাশিত প্রথম গন্থ “The Mathematical Analysis of Logic”- এ সর্বপ্রথম বুলিয় বীজগণিত নিয়ে আলোচনা করেন। পরবর্তিতে ১৮৫৪ সালে গণিত ও যুক্তির মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে তার “The Investigation of the Laws of Thought” গ্রন্থে বুলিয় বীজগণিত নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এতে মূলত সত্য এবং মিথ্যা এ দুই যুক্তি বা লজিকের ওপর ভিত্তি করে আলোচনা করা হয়। বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি আবিষ্কার হওয়ার পর বুলিয় বীজগণিতের সত্য এবং মিথ্যাকে বাইনারি 0 এবং 1 দিয়ে পরিবর্তন করার মাধ্যমে কম্পিউটারে অংক কষার সমস্ত গাণিতিক সমস্যা সমাধান করা হয়।
বুলিয়ান অ্যালজেবরা কাকে বলে?
জর্জ বুল প্রদত্ত যুক্তির ওপর ভিত্তি করে গণিতের যে শাখা উন্মোচিত হয়, তাকে বুলিয়ান অ্যালজেবরা বলা হয়। বুলিয় বীজগণিতে শুধু বুলিয় যোগ এবং গুণ-এর মাধ্যমে সমস্ত অংক করার কাজ করা হয়। যোগ এবং গুণের ক্ষেত্রে বুলিয়ান অ্যালজেবরা কতকগুলো নিয়ম মেনে চলে। এ নিয়মগুলোকেই বুলিয়ান স্বতঃসিদ্ধ বলা হয়।
বুলিয়ান অ্যালজেবরার বৈশিষ্ট্য
বুলিয়ান অ্যালজেবরার বৈশিষ্ট্য গুলো হলো-
১। বুলিয়ান অ্যালজেবরায় শুধুমাত্র 0 এবং 1 এ দুটি অংক ব্যবহৃত হয়।
২। এ অ্যালজেবরায় শুধুমাত্র যোগ এবং গুণের মাধ্যমে সমস্ত গাণিতিক কাজ করা হয়।
৩। এতে কোন ধরণের ভগ্নাংশ, লগারিদম, বর্গ, ঋণাত্মক সংখ্যা, কাল্পনিক সংখ্যাস ইত্যাদি ব্যবহার করা যায় না।
৪। এতে কোন ধরণের জ্যামিতিক ও ত্রিকোণমিতিক সুত্র ব্যবহার করা যায় না।
৫। দশমিক অ্যালজেবরার তুলনায় এই পদ্ধতি অনেক সহজ।