Chemistry

পোলারিটি কাকে বলে? পোলারিটির বৈশিষ্ট্য

এখানে নিচে পোলারিটি কি, পোলারিটি কাকে বলে এবং পোলারিটির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো।

সমযোজী বন্ধনে শেয়ারকৃত ইলেকট্রন যুগলকে কোনো পরমাণু কর্তৃক নিজের দিকে অধিক আকর্ষণ করার ক্ষমতাকে ঐ পরমাণুর তড়িৎ ঋণাত্মকতা বলা হয়। অধাতুর তড়িৎ ঋণাত্মকতা বেশি এবং ধাতুর তড়িৎ ঋণাত্মকতা কম। ফ্লোরিনের তড়িৎ ঋণাত্মকতা সবচেয়ে বেশি, তারপর অক্সিজেন, ক্লোরিন, নাইট্রোজেন পরমাণুর স্থান। শেয়ারকৃত ইলেক্ট্রন মেঘের ঘনত্ব অধিক তড়িৎ ঋণাত্মক পরমাণুর দিকে বেশি আকৃষ্ট হয়। ফলে ঐ পরমাণুতে আংশিক ঋণাত্মক চার্জ এবং অপর পরমাণুতে আংশিক ধনাত্মক চার্জ সৃষ্টি হয়।

পোলারিটি কাকে বলে?

সমযোজী যৌগের সংশ্লিষ্ট দুই পরমাণুর তড়িৎ ঋনাত্মকতার পার্থক্য 0.5-1.9 এর মধ্যে হলে তখন সমযোজী বন্ধনের ইলেক্ট্রন যুগল অধিক তড়িৎ ঋণাত্মক পরমাণু দ্বারা বেশি আকৃষ্ট হয়ে থাকে। ফলে অণুর দুই প্রান্তে দুটি আংশিক ভিন্ন চার্জের বা মেরুর সৃষ্টি হয়, উভয় মেরুকে একত্রে ডাইপোল বলা হয়। সমযোজী যৌগের অণুতে ডাইপোল সৃষ্টির ধর্মকে ঐ যৌগের পোলারিটি বলা হয়।

অণুর দুই প্রান্তে আংশিক ধনাত্মক ও আংশিক ঋনাত্মক দুটি ভিন্ন মেরু সৃষ্টি হওয়ায় ঐ অণুকে পোলার অণু বা পোলার যৌগ বলা হয়। HF, H2O হলো পোলার যৌগ।

পোলারিটির বৈশিষ্ট্য

পোলারিটি সৃষ্টির ফলে সমযোজী যৌগের মধ্যে আংশিক আয়নিক যৌগের বা তড়িৎযোজী যৌগের ধর্ম প্রকাশ পায়। যেমনঃ HCL, HNO3, H2SO4 সমযোজী যৌগ পানিতে সহজে আয়নিত হয়ে থাকে। এসব পোলার যৌগের জলীয় দ্রবণ তড়িৎ বিশ্লেষ্য হয়ে থাকে; ফলে বিদ্যুৎ পরিবহন করতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button