শ্বেত রক্তকণিকা কাকে বলে? শ্বেত রক্তকণিকার কাজ
এখানে নিচে শ্বেত রক্তকণিকা কি, শ্বেত রক্তকণিকা কাকে বলে, শ্বেত রক্তকণিকার কাজ সহ শ্বেত রক্তকণিকার বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো।
রক্তের উপাদান হিসেবে ভাসমান বিভিন্ন কোষকে রক্তকণিকা বলে। এগুলো হিমাটোপয়েসিস প্রক্রিয়ায় সৃষ্টি হয়। অন্যান্য কোষের মতো স্ববিভাজিত হয়ে সৃষ্টি হয় না বলে এদের কোষ না বলে কণিকা বলা হয়। রক্তের ৪৫% হলো রক্তকণিকা যা রক্তরসের মধ্যে নিমজ্জিত থাকে। রক্তকণিকা তিন ধরণের, যথা- এরিথ্রোসাইট বা লোহিত রক্তকণিকা, লিউকোসাইট বা শ্বেতরক্তকণিকা ও প্লেইটলেট বা থ্রম্বোসাইট বা অণুচক্রিকা।
শ্বেত রক্তকণিকা কাকে বলে?
মানবদেহের রক্তরসে ভাসমান হিমোগ্লোবিনবিহীন, অনিয়তকার ও নিউক্লিয়াসযুক্ত এবং রঞ্জক পদার্থবিহীন কণিকাকে শ্বেত রক্তকণিকা বলে। শ্বেত রক্তকণিকা নির্দিষ্ট আকারবিহীন প্রয়োজনে আকার পরিবর্তিত হয়। এ রক্তকণিকাকে দেহের ভ্রাম্যমান প্রতিরক্ষাকারী একক বলে কারণ এগুলো ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় জীবাণু ধ্বংস করে।
শ্বেত রক্তকণিকার কাজ
শ্বেত রক্তকণিকার কাজগুলো হলো-
১। মনোসাইট ও নিউট্রোফিল ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় জীবাণু ভক্ষণ করে ধ্বংস করে।
২। লিম্ফোসাইটগুলো অ্যান্টিবডি সৃষ্টি করে রোগ প্রতিরোধ করে (এজন্য এদের অয়াণুবীক্ষণিক সৈনিক বলে) । বেসোফিল হেপারিন উৎপন্ন করে যা রক্তনালির অভ্যন্তরে রক্তজমাট রোধ করে।
৩। দানাদার লিউকোসাইট হিস্টামিন সৃষ্টি করে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৪। নিউট্রোফিলের বিষাক্ত দানা জীবাণু ধ্বংস করে।
৫। ইওসিনোফিল রক্তে প্রবেশকৃত কৃমির লার্ভা এবং অ্যালার্জিক অ্যান্টিবডি ধ্বংস করে।