আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহিদ মিনারের তাৎপর্য নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সম্পর্কে সংলাপ বা শহিদ মিনারের তাৎপর্য নিয়ে সংলাপ রচনা নিচে দেওয়া হলো।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহিদ মিনারের তাৎপর্য একটি গুরুত্বপূর্ণ টপিক। বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় প্রায়ই এ বিষয়ে সংলাপ রচনা এসে থাকে। তাই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহিদ মিনারের তাৎপর্য নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ বা কথোপখন নিচে দেওয়া হলো।
রিফাত: শহিদ মিনার তো কী হয়েছে। জুতা রাখব কোথায়?
নাফিস: শহিদ মিনার বাঙালির শ্রদ্ধার স্মারক। আমরা লেখাপড়া করছি। সঠিক ইতিহাস জানছি। ভাষা শহিদদের আত্মত্যাগের কথা জেনে তারপরও আমরা তাঁদের অসম্মান করলে সাধারণের সাথে আমাদের পার্থক্য থাকল কী?
রিফাত: না মানে অনেকেই উঠেছে তো তাই বললাম আরকী।
নাফিস: ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে রফিক, সালাম, বরকতদের প্রতি সম্মান জানিয়ে তাঁদের স্মৃতিকে অমর করে রাখতে এই শহিদ মিনার। জানিস তাঁদের অবদানে আজ ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয় বিশ্বব্যাপী।
রিফাত: সারা পৃথিবীতে এই দিন পালন করা হয়?
নাফিস: হ্যাঁ, সারা পৃথিবীর মানুষ এই দিন তাঁদের মাতৃভাষাকে সম্মান জানায়, বাংলাকে স্মরণ করে। আমাদের ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে যথাযথ মর্যাদার সাথে পালন করে। অথচ আমাদের দেশেই যেন চেতনার বিষয়টি দিন দিন অবহেলিত হচ্ছে।
রিফাত: আমি শপথ করছি আমি সবাইকে এ গৌরবময় ইতিহাসের কথা জানাব এবং এ দিনের তাৎপর্য সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করব। আসলে এটা তো দেশপ্রেমেরই অংশ।
নাফিস: বিষয়টা তুমি উপলব্ধি করতে পেরেছো জেনে খুশি হলাম।