মেট্রোরেল নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা
এখানে নিচে বাংলা ২য় পত্রের লিখিত অংশের মেট্রোরেল নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা দেওয়া হলো।
বাংলা ২য় পত্র বা বাংলা ব্যাকরণের লিখিত অংশের গুরুত্বপূর্ণ টপিক হলো সংলাপ রচনা। বর্তমান সময়ে একটি বহুল আলোচিত বিষয় হলো মেট্রোরেল। বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় প্রায়ই মেট্রোরেল নিয়ে সংলাপ রচনা আসে। তাই, মেট্রোরেল বিষয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ নিচে দেওয়া হলো।
জাহিদঃ তারেক, তুমি কি মেট্রোরেল সম্পর্কে কিছু জানো?
তারেকঃ মেট্রোরেল হলো, শহরের মধ্যে অভ্যন্তরীণ গণপরিবহনের জন্যে দ্রুত গতির আধুনিক রেল ব্যবস্থা।
জাহিদঃ আমাদের দেশেও তো মেট্রোরেল চালু করা হয়ে হয়েছে যেটি ঢাকা মেট্রোরেল নামে পরিচিত।
তারেকঃ ঢাকা মেট্রোরেল হলো বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার একটি দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা। ২০১৩ সালে প্রথম এটি স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়।
জাহিদঃ ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্প বর্তমানে কী অবস্থায় রয়েছে?
তারেকঃ ঢাকা মেট্রোরেল বর্তমানে চলমান অবস্থায় রয়েছে। এটি ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন।
জাহিদঃ ঢাকা মেট্রোরেল তো শুধু ঢাকা শহরের মধ্যেই চলাচল করবে মনেহয়।
তারেকঃ ঢাকা মেট্রোরেল রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিল ও কমলাপুর পর্যন্ত চলাচল করবে। এর মোট ১৭টি স্টেশন রয়েছে।
জাহিদঃ পুরো রুট জুড়েই কি মেট্রোরেল চালু হয়ে গেছে?
তারেকঃ না। এখন বর্তমানে ঢাকা উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত সকাল ৮টা থেকে ৮টা পর্যন্ত চলাচল করছে। তবে শীঘ্রই এটি পুরো রুট জুড়ে চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
জাহিদঃ মেট্রোরেল ঢাকায় যানজট সমস্যা থেকে আমাদেরকে মুক্তি দিতে পারে।
তারেকঃ ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসন এবং পরিবেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বিদ্যুচ্চালিত মেট্রোরেল, যা দ্রুতগামী, নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য, শীতাতপনিয়ন্ত্রিত, সময়সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব অত্যাধুনিক গণপরিবহনব্যবস্থা।
জাহিদঃ এতে করে আমাদের অর্থ, সময়, শ্রম সবকিছু সাশ্রয় হবে।
তারেকঃ মেট্রোরেল দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
জাহিদঃ তোমাকে অনেক ধন্যবাদ। মেট্রোরেল নিয়ে তোমার সাথে কথা বলে অনেক কিছু জানতে পারলাম।
তারেকঃ তোমাকেও ধন্যবাদ।