Chemistry

সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ কী? সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থের উদাহরণ

এখানে নিচে সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ কী, সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ কাকে বলে এবং সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থের উদাহরণ সহ বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো।

সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থকে প্রকৃতিতে বিশুদ্ধ অবস্থায় ও নির্দিষ্ট সংযুক্তিতে পাওয়া যায় না, এরা বাতাসের জলীয় বাষ্প, CO2 এদের সাথে বিক্রিয়া করে, গ্যাস শোষণ করে, জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়, রাসায়নিক নিক্তিতে সঠিক ওজন নিয়ে প্রমাণ দ্রবণ প্রস্তুত করা সম্ভব নয়, এদের দ্রবনের ঘনমাত্রা কিছুক্ষণ পরে পরিবর্তিত হয়ে যায় এবং এরা সাধারণ তাপমাত্রায় বেশিরভাগ পদার্থ তরল অবস্থায় থাকে।

সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ কাকে বলে?

যেসব পদার্থের মধ্যে প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থের চারটি বৈশিষ্টের যেমন বিশুদ্ধতা, বাতাসে অপরিবর্তিত থাকা, রাসায়নিক নিক্তির ক্ষয় না করা অথবা ঘনমাত্রার পরিবর্তন না ঘটানো ইত্যাদির কোনো একটির অভাব ঘটে, তখন এদেরকে সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ বলে।

সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থের উদাহরণ

সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থের উদাহরণ গুলো হলো-

  1. NaOH ক্ষার,
  2. HCL এসিড,
  3. H2SO4 এসিড,
  4. পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট (KMnO4) জারক পদার্থ,
  5. সোডিয়াম থায়োসালফেট (Na2S2O3.5H2O) বিজারক পদার্থ ইত্যাদি।

এসব সেকেন্ডারি পদার্থের মোলার দ্রবণ বা ডেসিমোলার দ্রবণ প্রমাণ দ্রবণ হয় না। সেকেন্ডারি পদার্থের দ্রবণকে অপর পদার্থের প্রমাণ দ্রবণ দ্বারা টাইট্রেশন করে এর সঠিক মোলার ঘনমাত্রা নির্ণয় করা হয়। এরূপ সেকেন্ডারি পদার্থের যেমন KMnO4 এর 0.1M দ্রবণ তৈরি করে জারণ-বিজারণ টাইট্রেশন ব্যবহার করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button