পোলার স্থানাঙ্ক কাকে বলে? পোলার স্থানাংক এর ব্যাখ্যা
এখানে নিচে পোলার স্থানাঙ্ক কী, পোলার স্থানাঙ্ক কাকে বলে এবং পোলার স্থানাঙ্ক এর ব্যাখ্যা সহ বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো।
সমতলে কোন একটি বিন্দুর অবস্থান নির্ণয় করার জন্য কার্তেসীয় স্থানাঙ্ক পদ্ধতি ছাড়াও আরেকটি পোলার স্থানাঙ্ক পদ্ধতি আছে। পোলার স্থানাঙ্ক পদ্ধতি দুই মাত্রার স্থানাংক পদ্ধতি যা দ্বারা সমতলে কোন বিন্দুর দুইটি পোলার স্থানাঙ্ক নির্ণয় করা হয়।
একটি বর্গমূলযুক্ত স্থানাঙ্ক এবং আরেকটি কোণযুক্ত স্থানাংক। বর্গমূলযুক্ত স্থানাঙ্ক হচ্ছে একটি কেন্দ্রীয় মান হতে কোন বিন্দুর দূরত্ব। এ কেন্দ্রীয় মানকে মেরু বা পোল বলে যা কার্তেসীয় স্থানাঙ্ক এর মূল বিন্দু। বর্গমূলযুক্ত স্থানাঙ্ককে সাধারণত r দ্বারা প্রকাশ করা হয় এবং ইহাকে ব্যাসার্ধ ভেক্টর বলা হয়।
পোলার স্থানাঙ্ক এর ব্যাখ্যা
কোণযুক্ত স্থানাঙ্ক হচ্ছে 0° রশ্মি হতে সে বিন্দুতে পৌছতে যে কোণ উৎপন্ন হয়। 0° রশ্মিকে পোলার অক্ষ বা মেরু অক্ষ বা আদি রেখা বলা হয় যা কার্তেসীয় স্থানাংকের X অক্ষের ধনাত্মক দিক। কোণযুক্ত স্থানাঙ্ককে সাধারণত Theta দ্বারা প্রকাশ করা হয় এবং ইহাকে ভেক্টর কোণ বলা হয়।
পোলার স্থানাংক এর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে যা কার্তেসীয় স্থানাংকে নেই। তা হলো একটি বিন্দুর অসংখ্য ভিন্ন ভিন্ন পোলার স্থানাংক থাকতে পারে। কেননা কোন একটি বিন্দুর প্রকৃত অবস্থার কোনরূপ পরিবর্তন না করে পোলের চারদিকে পোলার অক্ষের যেকোনো সংখ্যকবার ঘূর্ণায়ন সম্ভব।