Bangla

আঠারো বছর বয়স কবিতার অনুধাবন প্রশ্নের উত্তর [অনুধাবনমূলক]

HSC বাংলা প্রথম পত্রের সুকান্ত ভট্টাচার্যের বিলাসী আঠারো বছর বয়স কবিতার কবিতার অনুধাবন প্রশ্ন এবং উত্তর নিচে প্রকাশ করা হলো।

এইচএসসি বা একাদশ-দ্বাদশ শ্রেনীর বাংলা প্রথম পত্রের পদ্যাংশের একটি কবিতার নাম আঠারো বছর বয়স। ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতাটি কিশোর কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত ‘ছাড়পত্র’ কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলন করা হয়েছে।

আঠারো বছর বয়স কবিতার অনুধাবন প্রশ্নের উত্তর

১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত ছাড়পত্র কাব্যগ্রন্থ থেকে সুকান্ত ভট্টাচার্যের “আঠারো বছর বয়স” কবিতাটি সংকলিত হয়েছে। আঠারো বছর বয়স কবিতায় সুকান্ত ভট্টাচার্য তার নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে বয়ঃসন্ধিকালের বৈশিষ্ট্যকে তুলে ধরেছেন।

আঠারো বছর বয়সের আছে সমস্ত দুর্যোগ আর দুর্বিপাক মোকাবিলা করার অদম্য প্রাণশক্তি। ফলে তারুণ্য ও যৌবনশক্তি দুর্বার বেগে এগিয়ে যায় এবং যৌবনের উদ্দীপনা, সাহসিকতা, দুর্বার গতি, নতুন জীবন রচনা স্বপ্ন, কল্যাণব্রত এসব বৈশিষ্ট্যের প্রকাশ ঘটায়।

আঠারো বছর বয়স কবিতার অনুধাবন প্রশ্ন ও উত্তর

এখানে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য রচিত আঠারো বছর বয়স কবিতার অনুধাবন প্রশ্ন বা অনুধাবনমূলক প্রশ্ন এবং এর উত্তর নিচে দেওয়া হলো।

অনুধাবন প্রশ্ন-১: ‘আঠারো বছর বয়স কী দুঃসহ’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?

উত্তর: আঠারো বছর বয়সে তরুণদের এক কঠিন ও অসহনীয় সময় অতিক্রম করতে হয় বলে এ বয়সকে দুঃসহ বলা হয়েছে। আঠারো বছর বয়স মানবজীবনে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ একটি সময়। এ সময় অন্যদের ওপর নির্ভরশীলতা পরিহার করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হয়। এ কারণে কৈশোর থেকে যৌবনে পদার্পণের এ সময়টিতে তরুণদের অনেক ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করে এগিয়ে যেতে হয়। আলোচ্য কবিতাটিতে কবি আঠারো বছর বয়সের এমন কঠিন পরিস্থিতির কথা ভেবেই এ বয়সকে দুঃসহ বলেছেন।

অনুধাবন প্রশ্ন-২: আঠারো বছর বয়স দুঃসহ কেন?

উত্তর: এ বয়সে নানা দুঃসাহসী স্বপ্ন, কল্পনা ও উদ্যোগ মনকে ঘিরে রাখে বলে কবি আঠারো বছর বয়সকে দুঃসহ বলেছেন। আঠারো বছর বয়স মানবজীবনের এক উত্তরণকালীন পর্যায়। এ বয়সে মানুষ কৈশোর থেকে যৌবনে পদার্পণ করে। আত্মনির্ভরশীলতার তাড়না এ সময় মনকে অস্থির করে তোলে। এ বয়সেই স্বাধীনভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার ঝুঁকি নেয় মানুষ। ফলে তাকে এক দুঃসহ অবস্থায় পড়তে হয়। তাই আলোচ্য কবিতায় আঠারো বছর বয়সকে দুঃসহ বলে অভিহিত করা হয়েছে।

অনুধাবন প্রশ্ন-৩: ‘স্পর্ধায় নেয় মাথা তোলবার ঝুঁকি।’- উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: যৌবনে উত্তরণকালীন পর্বে মানুষ অন্যের ওপর নির্ভরশীলতা পরিহার করে স্বাধীনভাবে চলার ঝুঁকি নিতে শেখে উক্তিটি এ অর্থই বহন করছে। আঠারো বছর বয়স মানুষের জীবনের উত্তরণকালীন পর্যায়। এ সময় অনেক মনোদৈহিক পরিবর্তন সাধিত হয়। নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে স্বনির্ভরতা অর্জন করতে চায় সে। তাই আঠারো বছর বয়সে মানুষ মাথা তোলার ঝুঁকি নেয়।

অনুধাবন প্রশ্ন-৪: আঠারো বছর বয়সের সঙ্গে স্পর্ধা শব্দটি জড়িয়ে আছে কেন?

উত্তর: আঠারো বছর বয়স সকল নিয়মকে ভঙ্গ করে বলেই তার সঙ্গে স্পর্ধা শব্দটি জড়িয়ে আছে। আঠারো বছর বয়সকে কবি দুঃসহ বলেছেন; কারণ এ বয়স কোনো নিয়মে আবদ্ধ থাকে না। সকল বাধাকে অতিক্রম করে এ বয়স তীব্র বেগে সামনের দিকে এগিয়ে চলে; আর এ চলায় কোনো সমীহ থাকে না। তাই আঠারো বছর বয়সের সঙ্গে স্পর্ধা শব্দটি জড়িয়ে আছে।

অনুধাবন প্রশ্ন-৫: আঠারো বছর বয়সের সাথে দুঃসাহসের সম্পর্ক ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: সৃষ্টিশীল মানসিকতার যে তাড়না তারুণ্যের বুকে তাড়িত হয়, সে বিচারে দেখা যায়— আঠারো বছর বয়সের সাথে দুঃসাহসের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। আঠারো বছর বয়স মানেই তারুণ্য আর সৃষ্টিশীল মানসিকতা। জীর্ণকে ধ্বংসের মাধ্যমে নবসৃষ্টিতেই তারুণ্য বেশি তৃপ্তি লাভ করে। আর এ জন্য প্রয়োজন বুকভরা দুঃসাহস। আঠারো বছর বয়স দুঃসাহসকে পুঁজি করেই সম্মুখ সমরে অগ্রগামী হয় বলে আঠারো বছর বয়সের সাথে দুঃসাহসের সম্পর্ক চিরদিনের।

অনুধাবন প্রশ্ন-৬: আঠারো বছর বয়স পদাঘাতে পাথর ভাঙতে চায় কেন?

উত্তর: আঠারো বছর বয়সে দুঃসাহসিকতা ও ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতা থাকে বলে পদাঘাতে পাথর ভাঙতে চায়। ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় কবি অত্যন্ত স্পষ্টতার সাথে উচ্চারণ করেছেন যে, এ বয়সে মানুষের মনে ভয়, পরাজয়, কাপুরুষতা ও গুটিয়ে থাকার প্রবণতা ইত্যাদি থাকে না। ফলে মনের মতো করে সকল হতাশা, নিরাশা, দুরাশা ও গ্লানিকে মুছে একটি সুন্দর ও সার্থক জীবন গঠন করা যায়। সকল বাধা-বিপত্তি আর প্রতিকূলতাকে মুহূর্তেই চূর্ণ-বিচূর্ণ করা সম্ভব হয় এ বয়সের সাহসী মনের প্রভাবে।

অনুধাবন প্রশ্ন-৭: ‘আঠারো বছর বয়স মাথা নোয়াবার নয়’ – কেন?

উত্তর: আঠারো বছর বয়সে মানুষ যৌবনে পদার্পণ করে আত্মপ্রত্যয়ী ও সাহসী হয়ে ওঠে বলে কারও কাছে মাথা নোয়ায় না। শৈশব-কৈশোরের পরনির্ভরতার দিনগুলো সচেতনভাবে মুছে ফেলতে উদ্যোগী হয় আঠারো বছর বয়সের তরুণেরা। এ বয়স অদম্য দুঃসাহসে সকল বাধা-বিপদকে পেরিয়ে যেতে প্রস্তুত থাকে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে উদ্যমী এ বয়সের তরুণেরা। কোনো অন্যায় ও প্রতিবন্ধকতার কাছে মাথা নত করে না এ বয়সের তরুণ প্রাণ। কবি তাই এ বয়সটিকে দুঃসাহসী হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

অনুধাবন প্রশ্ন-৮: ‘আঠারো বছর বয়স জানে না কাঁদা’ – কথাটির মাধ্যমে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?

উত্তর: ‘আঠারো বছর বয়স জানে না কাঁদা।’ বলতে কবি এই বয়সের সাহসী ও আত্মপ্রত্যয়ী মনোভাবকে বুঝিয়েছেন। আঠারো বছর বয়সে মানুষ আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে ওঠে। জীবনের মুখোমুখি দাঁড়ায় স্বাধীনভাবে। শৈশব-কৈশোরের পরনির্ভরতার দিনগুলোতে যে কান্না ছিল, এ বয়সের স্বভাব-বৈশিষ্ট্য তাকে সচেতনভাবে মুছে ফেলতে উদ্যোগী হয়। প্রশ্নোক্ত চরণটির মাধ্যমে কবি এ বিষয়টিই ফুটিয়ে তুলেছেন।

অনুধাবন প্রশ্ন-৯: ‘এ বয়স জানে রক্তদানের পুণ্য’- এ কথার তাৎপর্য কী?

উত্তর: যেকোনো মহৎ কাজে আঠারো বছর বয়সি তরুণদের আত্মত্যাগী মানসিকতা বোঝাতে কবি আলোচ্য উক্তিটি করেছেন। দেশ, জাতি ও মানবতার জন্য যুগে যুগে তরুণেরাই এগিয়ে এসেছে সবচেয়ে বেশি। সমস্ত বিপদ মোকাবিলায় তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রাণ দিয়েছে দেশ ও জনগণের মুক্তির সংগ্রামে। যেকোনো অন্যায়-অবিচারের প্রতিবাদ করতে এ বয়সের তরুণেরা পিছপা হয় না । তাই কবি বলেছেন, ‘এ বয়স জানে রক্তদানের পুণ্য।’

অনুধাবন প্রশ্ন-১০: ‘বাষ্পের বেগে স্টিমারের মতো চলে’- এ কথা দিয়ে সুকান্ত ভট্টাচার্য কী বোঝাতে চেয়েছেন?

উত্তর: ‘বাষ্পের বেগে স্টিমারের মতো চলে’– এ কথা দিয়ে সুকান্ত ভট্টাচার্য আঠারো বছর বয়সি তরুণদের চলার গতিকে নির্দেশ করেছেন। দেশ, জাতি ও মানবতার জন্যে যুগে যুগে তরুণরা তাদের প্রাণের অমিত তেজশক্তি নিয়ে এগিয়ে গেছে সম্মুখপানে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা দাঁড়িয়েছে সমস্ত বিপদ মোকাবিলায়। স্টিমার যেমন বাষ্পের বেগে দ্রুত সামনের দিকে এগিয়ে যায় তার নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য, তেমনি আঠারো বছর বয়সি তরুণরাও তাদের তারুণ্য নিয়ে অজানাকে জানার জন্য এবং দেশ ও জনগণের মুক্তি ও কল্যাণের সংগ্রামে সামনে এগিয়ে যায়। কোনো অপশক্তিই তাদের এ চলার গতিকে রুদ্ধ করতে পারে না।

অনুধাবন প্রশ্ন-১১: ‘শপথের কোলাহল’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?- ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: ‘শপথের কোলাহল’ শব্দবন্ধের মাধ্যমে নিত্য-নতুন করণীয় সম্পাদনের লক্ষ্যে তরুণদের নব নব শপথে বলীয়ান হওয়ার দিকটিকে বোঝানো হয়েছে। আঠারো বছর বয়সি তারুণ্য নানা ইতিবাচক বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জ্বল । বয়সি তরুণরা স্বপ্ন দেখে নতুন জীবনের, নব নব অগ্রগতি সাধনের। সেসব স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিত্যনতুন করণীয় সম্পাদনের জন্য তারুণ্যশক্তি নানামুখী শপথ গ্রহণ করে। প্রশ্নোক্ত শপথের কোলাহল’ শব্দবন্ধের মধ্য দিয়ে এ বিষয়টিই ফুটে উঠেছে।

অনুধাবন প্রশ্ন-১২: ‘তাজা তাজা প্রাণে অসহ্য যন্ত্রণা’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

উত্তর: সমাজজীবনে অন্যায়, শোষণ, নিপীড়ন ও ভেদ-বৈষম্য অবলোকন করে আঠারো বছর বয়সি যুবকেরা অসহ্য যন্ত্রণায় বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে আঠারো বছর বয়সি তরুণদের প্রাণ থাকে তীব্র আর প্রখর। মন থেকে ভয় ও শঙ্কা দূর করে এ বয়সের তরুণরা দুর্বার গতিতে সামনে এগিয়ে চলে। চারপাশের অন্যায়, অত্যাচার, শোষণ- নিপীড়ন আর শ্রেণি-বৈষম্য দেখে তরুণরা ভীষণ যন্ত্রণা অনুভব করে। এসব অনাচার তাদের মনকে বিক্ষুব্ধ করে তোলে। এ সময় তারা বিভেদহীন সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে উদ্যোগী হয়ে ওঠে। প্রশ্নোক্ত চরণটির মাধ্যমে তারুণ্যের এই বৈশিষ্ট্যের প্রতিই ইঙ্গিত করা হয়েছে।

অনুধাবন প্রশ্ন-১৩: ‘এ বয়সে কানে আসে কত মন্ত্রণা’- ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় কবি ‘এ বয়সে কানে আসে কত মন্ত্রণা’- চরণটির মাধ্যমে এ বয়সে নতুন নতুন তত্ত্বের সঙ্গে পরিচিত হওয়াকে বুঝিয়েছেন। আঠারো বছর বয়সে মানুষ আত্মপ্রত্যয়ে প্রথমবারের মতো স্বনির্ভর জীবনযাপনের প্রয়াস চালায়। এ জন্য তাকে বাস্তব রূঢ় মাটির পৃথিবীর ওপর দাঁড়াতে হয়। এ সময় তারা ভালো-মন্দ, ইতিবাচক- নেতিবাচক নানা তত্ত্ব, মতবাদ ও ভাবধারার সঙ্গে পরিচিত হতে শুরু করে।

অনুধাবন প্রশ্ন-১৪: ‘ক্ষত-বিক্ষত হয় সহস্র প্রাণ’- ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: প্রশ্নোক্ত উক্তিটিতে নানামুখী জটিলতায় পদস্খলনের ফলে জীবনে বিপর্যয় নেমে আসার দিকটিকে বোঝানো হয়েছে । আঠারো বছর বয়স জীবনের এক উত্তরণকালীন পর্যায়। অন্যের ওপর নির্ভরশীলতা পরিহার করে এ বয়সেই নিজের পায়ে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি নিতে হয় তরুণকে। জীবনের এ সন্ধিক্ষণে শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক নানা জটিলতায় পড়তে হয় তরুণদের। এ সময় সচেতনভাবে সঠিক পথে নিজেকে পরিচালিত করতে না পারলে জীবন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে পারে । প্রশ্নোক্ত চরণটিতে এটিই প্রকাশিত হয়েছে।

অনুধাবন প্রশ্ন-১৫: ‘এ বয়স কালো লক্ষ দীর্ঘশ্বাসে’- ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: আঠারো বছর বয়সে সঠিক পথে চালিত না হলে ব্যর্থতার দীর্ঘশ্বাস জীবনকে তছনছ করে দিতে পারে। আঠারো বছর বয়স উত্তেজনার, প্রবল আবেগ ও উচ্ছ্বাসে ঝুঁকি নেওয়ার উপযোগী। অনুভূতির তীব্রতা ও সুগভীর সংবেদনশীলতা বয়সীদের জীবনে বিশেষ তীব্র হয়ে দেখা দেয়। সচেতন ও সচেষ্ট হয়ে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে জীবন পরিচালনা করতে না পারার অজস্র দীর্ঘশ্বাসে এ বয়স নেতিবাচক কালো অধ্যায় হয়ে উঠতে পারে। আলোচ্য উক্তিটি দ্বারা কবি মূলত এ বয়সের সংবেদনশীলতাকে বোঝাতে চেয়েছেন।

অনুধাবন প্রশ্ন-১৬: ‘তবু আঠারোর শুনেছি জয়ধ্বনি’ — প্রসঙ্গ পক্তিটি ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: আঠারো বছর বয়সি তরুণদের দুর্জয় মনোভাব এবং অপার সম্ভাবনার দিক বিবেচনায় কবি প্রশ্নোক্ত পঙ্ক্তিটির অবতারণা করেছেন। মানুষের জীবনে আঠারো বছর বয়স খুবই তাৎপর্যপূর্ণ একটি সময়। কৈশোর থেকে যৌবনে পদার্পণের এ সময়টিতে তরুণদের অনেক ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করে এগিয়ে যেতে হয়। আর প্রবল প্রাণশক্তির অধিকারী তরুণেরা শত দুর্যোগ মোকাবিলা করে অদম্য মনোভাব নিয়ে সামনে এগিয়ে চলে । তারুণ্যের শক্তিতে দুর্জয়কে জয় করে দেশ ও জাতির জন্য অমিত সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেয় তারা। তারুণ্যের এ অমিত শক্তি এবং ইতিবাচক বৈশিষ্ট্য লক্ষ করেই কবি প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করেছেন।

অনুধাবন প্রশ্ন-১৭: ‘এ বয়স বাচে দুর্যোগে আর ঝড়ে’– কেন?

উত্তর: আঠারো বছর বয়সি তরুণদের অদম্য প্রাণশক্তি থাকে বলে তারা প্রচণ্ড দুর্যোগেও টিকে থাকতে পারে। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের মতে, আঠারো বছর বয়স খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এটি মানবজীবনের একটি বিশেষ অধ্যায়। কৈশোর থেকে যৌবনে পদার্পণের এ সময়টিতে তরুণদের অনেক ঘাত- প্রতিঘাত সহ্য করে এগিয়ে যেতে হয়। আর প্রবল প্রাণশক্তির অধিকারী তরুণেরা শত দুর্যোগ মোকাবিলা করে অদম্য লক্ষ্য নিয়ে সামনে এগিয়ে চলে। তারুণ্যের শক্তিই তাদের দুর্জয়কে জয় করার প্রেরণা জোগায়। দুর্দমনীয় এ বৈশিষ্ট্যের কারণেই আলোচ্য উক্তিটি করা হয়েছে।

অনুধাবন প্রশ্ন-১৮: ‘বিপদের মুখে এ বয়স অগ্রণী’ বলতে কী বোঝো?

উত্তর: পঙক্তিটির মাধ্যমে যেকোনো বিপদ মোকাবিলায় আঠারো বছর বয়সি তরুণদের দুঃসাহসী ভূমিকার কথা বলা হয়েছে। আঠারো বছর বয়সে মানুষের প্রাণশক্তি থাকে প্রচুর। প্রাণের শক্তিতে বলীয়ান হয়ে সে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায়। দেশ ও সমাজের কল্যাণে কাজ করতে চায়। ফলে তাকে নানা বিপদের মুখোমুখি হতে হয়। তবে এ তারুণ্য বিপদে পিছপা না হয়ে বরং বিপদ মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।

অনুধাবন প্রশ্ন-১৯: ‘এ বয়স তবু নতুন কিছু তো করে?’- বুঝিয়ে দাও।

উত্তর: চিরাচরিত প্রথাবদ্ধ জীবনধারাকে ভেঙে এ বয়সি তারুণ্য নতুন স্বপ্ন নিয়ে প্রগতির পথে এগিয়ে চলে। আঠারো বছর বয়সের তরুণরা প্রবল আবেগে ঝুঁকি নিয়ে অবিরাম গতিতে জীবনসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এ বয়সেই মানুষ অদম্য দুঃসাহসে কঠিন বাধাবিপত্তি উপেক্ষা করে অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়। বিপদের সময় তারাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। এ বয়স তাই বিপৎসংকুল। কিন্তু সমাজ ও জাতি গঠনে তরুণদের অবদানই সবচেয়ে বেশি। আর তাই কবি তারুণ্যের জয়গান গেয়ে প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করেছেন।

অনুধাবন প্রশ্ন-২০: ‘পথ চলতে এ বয়স যায় না থেমে’– কেন?

উত্তর: আঠারো বছর বয়সের তরুণরা অদম্য প্রাণশক্তির অধিকারী বলে কোনো বাধাই তাদের চলার গতিকে রুদ্ধ করতে পারে না। ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় কবি আঠারো বছর বয়সের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছেন। কবির মতে, অদম্য এ বয়সের আছে সমস্ত দুর্যোগ আর দুর্বিপাক মোকাবিলা করার অফুরন্ত প্রাণশক্তি। এ বয়সের তরুণরা দেশ ও জাতির কল্যাণে অকাতরে জীবন দিতে জানে, কিন্তু পিছু হটতে জানে না।

অনুধাবন প্রশ্ন-২১: ‘এ দেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে।’- ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: কবি উক্ত পক্তিটির মাধ্যমে প্রত্যাশা করেছেন, আঠারো বছর বয়সের ইতিবাচক বৈশিষ্ট্যগুলো যেন জাতীয় জীবনের চালিকাশক্তি হয়ে ওঠে আঠারো বছর বয়স বহু ইতিবাচক বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ। এ বয়সের তরুণরা জড়-নিশ্চল প্রথাবদ্ধ জীবনকে পেছনে ফেলে সব সময় নতুন জীবন রচনার স্বপ্ন দেখে। কল্যাণচিন্তা, সেবাব্রত, উদ্দীপনা, সাহসিকতা, চলার দুর্বার গতি— এসবই আঠারো বছর বয়সি তারুণ্যের বৈশিষ্ট্য। কবির কামনা এসব বৈশিষ্ট্য দিয়েই যেন তরুণরা জাতীয় জীবনের ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটায়।

অনুধাবন প্রশ্ন-২২: কবি কেন যৌবনশক্তির জয়গান করেছেন?

উত্তর: যৌবনের ইতিবাচক বৈশিষ্ট্যের জন্য কবি যৌবনশক্তির জয়গান করেছেন। আঠারো বছর বয়সের তরুণরা শৈশব-কৈশোরের পরনির্ভরতার দিনগুলো সচেতনভাবে মুছে ফেলতে উদ্যোগী হয়। এ বয়স অদম্য দুঃসাহসে সকল বাধা-বিপদকে পেরিয়ে যেতে প্রস্তুত থাকে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে এ বয়সের তরুণরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। এ বয়সের তরুণপ্রাণ কারও কাছে মাথা নিচু করে না। আর এ কারণেই কবি যৌবনশক্তির জয়গান করেছেন।

অনুধাবন প্রশ্ন-২৩: আঠারো বছর বয়সে কীরূপ অনুভূতি মনকে ঘিরে রাখে?

উত্তর: আঠারো বছর বয়সে নানা দুঃসাহসী স্বপ্ন, কল্পনা ও উদ্যোগ তরুণদের মনকে ঘিরে রাখে। আঠারো বছর বয়স জীবনের এক উত্তরণকালীন পর্যায়। কৈশোর থেকে যৌবনে পদার্পণ করে মানুষ এই বয়সে। অন্যের ওপর নির্ভরশীলতা পরিহার করে এ বয়সেই নিজের পায়ে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি নিতে হয় তরুণদের। আত্মনির্ভরশীলতার তাড়না তাকে এ সময় অস্থির করে তোলে। এ বয়সেই স্বাধীনভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার ঝুঁকি নেয় সে। ফলে তাকে এক দুঃসহ অবস্থায় পড়তে হয়।

অনুধাবন প্রশ্ন-২৪: দুর্যোগ ও দুর্বিপাক মোকাবিলায় কবি তারুণ্যের কী ধরনের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছেন?

উত্তর: দুর্যোগ ও দুর্বিপাক মোকাবিলায় কবি তারুণ্যের উদ্দীপনা, সাহসিকতা, দুর্বার গতি, নতুন জীবন রচনার স্বপ্ন এবং কল্যাণব্রতের মতো বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছেন। আঠারো বছর বয়সের আছে সমস্ত দুর্যোগ আর দুর্বিপাক মোকাবিলা করার অদম্য প্রাণশক্তি। তারা যৌবনশক্তি নিয়ে দুর্বার বেগে এগিয়ে যায় প্রগতির পথে। যৌবনের উদ্দীপনা, সাহসিকতা, দুর্বার গতি, নতুন জীবন রচনার স্বপ্ন এবং কল্যাণব্রত— এসব বৈশিষ্ট্যের ধারক হয়ে তরুণরা দুর্যোগ ও দুর্বিপাক মোকাবিলায় অগ্রণী হয়।

অনুধাবন প্রশ্ন-২৫: আঠারো বছর বয়সে জীবনে বিপর্যয় নেমে আসার আশঙ্কা থাকে কেন?

উত্তর: আঠারো বছর বয়সে জীবনের নানা জটিলতা অতিক্রম করতে হয় বলে জীবনে বিপর্যয় নেমে আসার আশঙ্কা থাকে। ‘অাঠারো বছর বয়স’ কবিতায় কবি আঠারো বছর বয়সের বিচিত্র বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছেন। জীবনের এই সন্ধিক্ষণে শারীরিক, মানসিক, সামাজিক, রাজনৈতিক নানা জটিলতাকে অতিক্রম করতে হয়। তাছাড়া যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য এ বয়স যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি সমূহ বিপর্যয়ের আশঙ্কাও এ বয়সে বেশি। তাই এ সময় সচেতন ও সচেষ্টভাবে নিজেকে পরিচালনা করতে না পারলে পদস্থলন হতে পারে। জীবনে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসার আশঙ্কা থাকে।

অনুধাবন প্রশ্ন-২৬: কবি চেতনায় আঠারো বছর বয়সকে প্রত্যাশার কারণ কী? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: কবি চিরতারুণ্যকে তাঁর মধ্যে ধারণ করেন বলেই আঠারো বছর বয়সকে প্রত্যাশা করেন। আঠারো বছর বয়স অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করে তোলে। এক্ষেত্রে তারা কিছুটা ঝুঁকি নেয় সত্য, তবে শেষ পর্যন্ত বিজয় ছিনিয়ে আনে। প্রবল গতিশীলতার কারণে এ বয়সিরা অনেক সময় বিপদের কারণ ঘটায়। কিন্তু তারপরও এ বয়স তারুণ্যকে অন্তরে ধারণ করে বলেই কবি আঠারো বছর বয়সকে প্রত্যাশা করেন।

অনুধাবন প্রশ্ন-২৭: কীভাবে আঠারো বছর বয়স জাতীয় জীবনের চালিকাশক্তি হয়ে উঠতে পারে?

উত্তর: ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমেই ‘আঠারো বছর বয়স’ জাতীয় জীবনের চালিকাশক্তি হয়ে উঠতে পারে। নানান ইতিবাচক গুণের সমষ্টি নিয়ে ‘আঠারো বছর বয়স’ এক বিশাল শক্তির প্রতীক হয়ে মানবজীবনের চলার পথে ভূমিকা রাখে। জড়, নিশ্চল ও প্রথাবদ্ধ জীবনকে পায়ে ঠেলে নতুন জীবনের পথে এগিয়ে চলে আঠারো বছর বয়স। নতুন স্বপ্নে উদ্দীপিত হয়ে মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত হয়ে আঠারো বছর বয়সি তরুণরা তাদের উদ্দীপনা, সাহসিকতা ও চলার দুর্বার গতিকে যথোপযুক্তভাবে প্রয়োগ করে। আর এভাবেই তারা হয়ে ওঠে জাতীয় জীবনের চালিকাশক্তি।

অনুধাবন প্রশ্ন-২৮: কবিতার বিষয়বস্তু হিসেবে সুকান্ত ভট্টাচার্য আঠারো বছর বয়সকে নির্ধারণ করেছেন কেন?

উত্তর: তারুণ্যের প্রতীক হিসেবে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য আঠারো বছর বয়সকে কবিতার বিষয়বস্তু হিসেবে নির্ধারণ করেছেন । আঠারো বছর বয়স হচ্ছে কৈশোর থেকে তারুণ্যে পদার্পণের সময়। বয়সটি যেমন উত্তেজনা, আবেগ ও উচ্ছ্বাসে ভরপুর, তেমনি দুঃসাহসিক ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষেত্রেও উপযুক্ত। পুরোনো ও জরাজীর্ণতাকে ভেঙে ফেলে নতুন সমাজ, নতুন পৃথিবী গড়ে তুলতে তাই আঠারো বছর বয়সের তরুণের বিকল্প নেই। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য উল্লেখিত বিষয় বিবেচনা করেই আঠারো বছর বয়সকে কবিতার বিষয়বস্তু হিসেবে নির্ধারণ করেছেন।

অনুধাবন প্রশ্ন-২৯: আঠারো বছর বয়সকে কেন মানবজীবনের উত্তরণকালীন পর্যায় বলা হয়?

উত্তর: আঠারো বছর বয়স কৈশোর থেকে যৌবনে পদার্পণের সময় বলে আঠারো বছর বয়সকে মানবজাতির উত্তরণকালীন পর্যায় বলা হয়। আঠারো বছর বয়স হচ্ছে মানুষের যৌবনে পদার্পণের সময়। এই সময়ে মানুষের দৈহিক ও মানসিক গঠনে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন সাধিত হয়। মানুষ হয়ে ওঠে সাহসী, আবেগী ও সংবেদনশীল। এই বয়সে মানবচিন্তা ও আচরণের পরিপূর্ণ বিকাশ ” হয় বলে এই সময়কে মানবজাতির উত্তরণকালীন পর্যায় বলা হয়।

অনুধাবন প্রশ্ন-৩০: আঠারো বছর বয়সি তারুণ্য ঝুঁকি নিতে চায় কেন?

উত্তর: অদম্য প্রাণশক্তির বলে তরুণরা স্বনির্ভরতা অর্জন করতে চায় বিধায় তারা ঝুঁকি নিতে তৎপর হয়। আঠারো বছর বয়স মানুষের জীবনের উত্তরণকালীন পর্যায়। এ সময় অনেক মনোদৈহিক পরিবর্তন সাধিত হয়। নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে স্বনির্ভরতা অর্জন করতে চায় সে। তাই আঠারো বছর বয়সে তারুণ্য মাথা তোলার ঝুঁকি নেয়।

অনুধাবন প্রশ্ন-৩১: ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতা অনুযায়ী তারুণ্যের আত্মত্যাগ কেমন হওয়া উচিত?

উত্তর: ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতা অনুযায়ী তারুণ্যের আত্মত্যাগ হওয়া উচিত কল্যাণকর ও দেশসেবামূলক কাজে। তারুণ্য এক অসীম প্রাণশক্তির প্রতীক। দুর্বার গতিসম্পন্ন দুঃসাহসিক তরুণ ইতিবাচক ও নেতিবাচক – দুই ক্ষেত্রেই তার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারে। ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় কবি এ শুভবোধকেই প্রাধান্য দিয়েছেন বেশি। সমাজ ও মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত হয়েই তরুণদের সর্বশক্তি নিয়োগ করতে হবে। তবেই তারুণ্যের আত্মত্যাগ হবে কেবল শুভ ও মহৎ কাজে।

অনুধাবন প্রশ্ন-৩২: আমাদের দেশের তরুণরা জাতীয় জীবনের চালিকাশক্তি হতে পারছে না কেন?

উত্তর: তারুণ্যের নেতিবাচক দিকগুলোর দ্বারা বেশি প্রভাবিত হওয়ায় এ দেশের তরুণরা জাতীয় জীবনের চালিকাশক্তি হতে পারছে না। তরুণদের কানে চারপাশ থেকে নানা ধরনের মন্ত্রণা আসে। তাই এ সময় সিদ্ধান্তহীনতা ও বিভ্রান্তির কারণে তাদের পক্ষে ঠিকভাবে জীবনের হাল ধরে রাখা কষ্টকর হয়ে পড়ে। আর যদি এসব নেতিবাচকতা তাদের বেশি প্রভাবিত করে ফেলে তবে তারা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়। আর এদেশের তরুণেরা নেতিবাচকতা দ্বারা অধিক প্রভাবিত হচ্ছে বলেই জাতীয় জীবনের চালিকাশক্তি হতে পারছে না।

অনুধাবন প্রশ্ন-৩৩: ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় কবির যে অনুভবের প্রকাশ ঘটেছে তা নিজের ভাষায় লেখো।

উত্তর: ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় কবি এ বয়স সম্পর্কে আপন অনুভবের প্রকাশ ঘটিয়েছেন। কবি আঠারো বছর বয়সকে বহু ইতিবাচক বৈশিষ্ট্যে চিহ্নিত করেছেন। তিনি অনুভব করেছেন, প্রগতি ও অগ্রগতির পথে নিরন্তর ধাবমানতাই এ বয়সের অন্যতম চেতনা। কিছু নেতিবাচক দিক থাকলেও এ বয়সের আছে সমস্ত দুর্যোগ আর দুর্বিপাক মোকাবিলা করার অদম্য শক্তি। সর্বোপরি কবির অনুভবে আঠারোর জয়গানই গীত হয়েছে।

অনুধাবন প্রশ্ন-৩৪: ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় কবি তরুণদের প্রাণের কোন চিত্র তুলে ধরেছেন? বুঝিয়ে লেখো।

উত্তর: ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় কবি তরুণদের সংবেদনশীলতা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে অনুভূতির তীব্রতার দিকটি তুলে ধরেছেন। আঠারো বছর বয়সে তরুণরা চারপাশের অন্যায়-অত্যাচার, শোষণ-পীড়ন, সামাজিক বৈষম্য ও ভেদাভেদ দেখে প্রতিবাদী হয়ে ওঠে। এ বয়সে তরুণদের অনুভূতির তীব্রতা ও সুগভীর সংবেদনশীলতা প্রকট হওয়ায় মনোজগতে বিভিন্ন বিষয়ে গভীর প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। আলোচ্য কবিতাটিতে কবি সে চিত্রই তুলে ধরেছেন।

আরো দেখুনঃ

এখানে এইচএসসি বাংলা ১ম পত্রের আঠারো বছর বয়সের মোট ৩৪টি অনুধাবন প্রশ্ন বা অনুধাবনমূলক প্রশ্ন দেওয়া হলো। এখান থেকে চাইলে এর পিডিএফও ডাউনলোড করা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button